অচিন গাছটি তাঁর শাখা প্রশাখা বিস্তার করে প্রায় ১০ শতাংশ জায়গা জুড়ে অবস্থান করছে। ডুমুরের পাতা সদৃশ এই গাছের মরা পাতা নাকি আপনা আপনিই নতুন পাতায় রূপান্তর হয় এবং একেক পাশের পাতার আকৃতি এক এক রকম। অতীতে গাছটির ছায়ায় স্থানীয়রা নিয়মিত ধান-পাট শুকাতো এবং প্রতিদিন সন্ধ্যায় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা গাছটির গোঁড়ায় এসে মানত করে দক্ষিণা দান করত। কালের বিবর্তনে গাছটির শাখা-প্রশাখা অনেকটা কমে গেলেও যুগ যুগ ধরে স্থানীয় পূর্ব পুরুষদের গাছটিকে ঘিরে পূজা আর্চনা করার রীতি এখনো রয়ে গেছে। প্রতি দুই বছর অন্তর সনাতন ধর্মাবলম্বীরা জাঁকজমকপূর্ণভাবে অচিন গাছকে ঘিরে পূজা আর্চনা করে। বর্তমানে এই গাছটির একটি শাখা গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার বাঁশতলী গ্রামে ও আরেকটি জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া এভিনিউতে লাগানো হয়েছে।
কিভাবে যাবেন
রাজধানী ঢাকার আসাদগেট, কল্যাণপুর ও গাবতলি থেকে নাবিল, হক স্পেশাল, হানিফ, তানজিলা ও এনার মতো বাসে কুড়িগ্রাম যাওয়া যায়। এসি/নন-এসি এসব বাসের জনপ্রতি ভাড়া লাগবে ৯৫০-১৪০০ টাকা। আবার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশান থেকে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস অথবা রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকা থেকে সরাসরি কুড়িগ্রাম যাওয়া যায়। শ্রেণীভেদে এসব ট্রেনের টিকেটের মূল্য ৬৪০-২১৯৭ টাকা। কুড়িগ্রাম থেকে স্থানীয় পরিবহণে অচিন গাছ দেখতে যেতে পারবেন।
কোথায় থাকবেন
কুড়িগ্রাম শহরের ঘোষপাড়া ও কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের কাছে বিভিন্ন মানের বেশ কয়েকটি আবাসিক হোটেল আছে। আবাসিক হোটেলগুলোর মধ্যে হোটেল অর্নব প্যালেস, হোটেল ডিকে, হোটেল স্মৃতি, হোটেল নিবেদিকা ও হোটেল মেহেদী উল্লেখযোগ্য।
কোথায় খাবেন
কুড়িগ্রামের শাপলা মোড়ে অবস্থিত নান্না বিরিয়ানি ও এশিয়া হোটেলের খাবার বেশ ভালমানের। এছাড়া কুড়িগ্রামের জনপ্রিয় খাবারের মধ্যে সিদল ভর্তা ও তিস্তা নদীর বৈরাতী মাছ অন্যতম।
কুড়িগ্রাম জেলার দর্শনীয় স্থান
কুড়িগ্রামের অন্যান্য দর্শনীয় স্থানের মধ্যে উলিপুর মুন্সিবাড়ী, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফলক, ধরলা ব্রিজ, ভেতরবন্দ জমিদার বাড়ি ও চান্দামারী মসজিদ উল্লেখযোগ্য।