কখন যাবেন

বছরের যে কোন সময় জাদিপাই ঝর্ণায় যেতে পারবেন। শীতকালে ঝর্ণায় পানি কম থাকলেও ট্রেকিং সুবিধাজনক। এছাড়া বর্ষাকালে ঝর্ণায় পানি বেশি থাকলে এই সময়টা ট্রেকিং এর জন্যে কিছুটা ঝুকিপূর্ণ। সবচেয়ে ভাল হবে বর্ষা পরবর্তী সময় গুলোতে এই ঝর্ণা অভিযানে গেলে।

কিভাবে যাবেন

জাদিপাই ঝর্ণায় যেতে হলে আপনাকে বান্দরবানের রুমা উপজেলা থেকে বগালেক হয়ে কেওক্রাডং পাহাড় চূড়া হয়ে তারপর যেতে হবে। বান্দরবান জেলা শহর হয়ে রুমা বাজার চলে আসুন। বান্দরবান থেকে রুমা বাজারের দূরত্ব প্রায় ৪৮ কিলোমিটার। বান্দরবানের রুমা বাস স্ট্যান্ড হতে লোকাল বাস কিংবা বান্দরবান শহরের জীপ স্টেশন থেকে জীপ/চাঁন্দের গাড়ি নিয়ে রুমা বাজার যেতে পারবেন। কিংবা বান্দরবান থেকে গাড়ি রিজার্ভ করে সরাসরি বগালেক পর্যন্ত যেতে পারবেন।

বগালেক থেকে ট্রেকিং করে কেওক্রাডং যেতে হবে। কেওক্রাডং পাহাড় থেকে ১৫-২০ মিনিটের দূরত্বে অবস্থিত বান্দরবানের সব চেয়ে উঁচু গ্রাম পাসিং পাড়ার খাড়া পথ ধরে মিনিট ত্রিশেক হাঁটার পর জাদিপাই পাড়া হয়ে আরও ৩০-৪০ মিনিট হাটলে তবেই জাদিপাই ঝর্ণায় পৌঁছানো যায়। পাসিং পাড়া আর জাদিপাই পাড়ার মাঝখানের পথ বেশ খাড়া ও বিপদসংকুল।

জাদিপাই ঝর্ণা যেতে যেহেতু বগালেক ও কেওক্রাডং হয়ে যেতে হয় তাই যাওয়ার ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য পাবেন আমাদের বগালেক ভ্রমণ গাইড ও কেওক্রাডং ভ্রমণ গাইড থেকে।

খাওয়া দাওয়া

বগালেক বা কেওক্রাডং এর আদীবাসীদের ঘরেই খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা থাকে। ভাত, ভর্তা, মাংস, ডালের বিভিন্ন প্যাকেজের মূল্য ১০০-২০০ টাকা। আর ট্রেকিং এ খাওয়ার জন্যে সাথে করে প্রয়োজনীয় শুকনো খাবার সাথে নিয়ে যেতে পারেন।

কোথায় থাকবেন

জাদিপাই ঝর্ণা দেখতে গেলে বগালেক কিংবা কেওক্রাডং-এ আদিবাসীদের ছোট ছোট কটেজে রাত্রিযাপন করতে হবে। সুবিধামত রাত্রিযাপনের স্থান নির্বাচনের প্রয়োজনে গাইডের সাথে কথা বলে নিতে পারেন।

ফিচার ইমেজ: ইমন খালিদ