আলীকদম হতে ক্রমশ উঁচু হতে হতে প্রায় ২৫০০ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত এই পাহাড়ী পথ দিয়ে চলতে চলতে প্রকৃতির যে রূপ চোখে পড়ে তা ভাষায় ব্যাখ্যা করা কঠিন। ইতিহাসের সাক্ষী হোক কিংবা সৌন্দর্য দর্শন ভ্রমণকারী এখান থেকে ফিরে যান অন্যরকম আত্মতৃপ্তি নিয়ে।
কিভাবে যাবেন
রাজধানী ঢাকা হতে সরাসরি আলীকদমগামী বাস সার্ভিস রয়েছে। এছাড়া ঢাকা হতে রাতের কোন বাসে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া নেমে সেখান থেকে লোকাল চাঁন্দের গাড়ি বা রিজার্ভ চান্দের গাড়ি অথবা লোকাল বাস দিয়ে চলে যান আলীকদম। আলীকদম থেকে চান্দের গাড়ী রিজার্ভ নিয়ে অথবা মোটরসাইকেল ভাড়া করে আলীকদম – থানচি রাস্তা ধরে চলে যান ডিম পাহাড়ে। ডিম পাহাড় ঘুরে থানচি বাজারে খাওয়া দাওয়া সেরে বান্দরবান হয়ে ফিরতে পারেন অথবা আলীকমদেও ফিরে আসতে পারেন।
ঢাকা হতে বান্দরবান হয়েও ডিম পাহাড়ে যেতে পারবেন। বান্দরবান থেকে লোকাল বাস কিংবা চান্দের গাড়িতে থানচি বাজার এসে ডিম পাহাড়ে যাওয়ার চান্দের গাড়ি ও মোটরবাইক পাবেন।
কোথায় থাকবেন
রাতে থাকতে চাইলে থানচিতে বিজিবি রিসোর্টে যোগাযোগ করতে পারেন। থানচি বাজারে আরও কিছু সাধারণ মানের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া আলীকদমে নতুন চালু যাওয়া উপজেলা রোডের দ্যা দামতুয়া ইন (০১৭৪৮-৯১২১২৭) অথবা জেলা পরিষদের ডাক বাংলোতে থাকতে পারবেন। এছাড়া পান বাজারে একটি বোর্ডিং আছে যদিও মান তেমন ভাল না।
খাওয়া দাওয়া
থানচি, আলীকদম ও পানবাজারে বেশ কিছু দেশীয় খাবারের হোটেল আছে। খুব আহামরি না হলেও মোটামুটি মানের খাবার পাবেন। ভাত, মুরগি, মাংস ও মাছের পদ পাবেন।