বড় কাটরার উত্তর ও দক্ষিণ দিকে দুইটি প্রবেশ পথ রয়েছে। আয়তাকার প্রাঙ্গণ ঘিরে নির্মিত বড় কাটরার কক্ষের সংখ্যা মোট বাইশটি। পূর্ব-পশ্চিম অংশের মাঝামাঝি তিনতলা সমান উচ্চতার ফটকের দুইপাশে দ্বিতল ঘরের সারি এবং দুইপ্রান্তে আটকোণা দুইটি বুরুজ রয়েছে।

কথিত আছে, শাহজাদা শাহ সুজার জন্য এই প্রাসাদটি নির্মাণের পর তাঁর পছন্দ না হওয়ার কারণে স্থপতি আবুল কাসেমকে শর্ত সাপেক্ষ্যে ব্যবহার করার জন্য দিয়ে দেন। শর্ত ছিলো যে দানকৃত ওয়াকফ ইমারতের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ কোন অবস্থাতেই ব্যবহারের জন্য অনুমতিপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তির কাছ থেকে কোন প্রকার ভাড়া বা অর্থ নিতে পারবে না। তাই বাইশটি দোকানির নিকট ওয়াকফ করা দোকান বড় কাটরার খরচ নির্বাহের জন্য দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ ধ্বংসপ্রায় বড় কাটরা ইমারতকে সংরক্ষণ ও সংস্কারের জন্য অধিগ্রহণ করতে চাইলেও মালিকদের বাধার কারণে তা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে এটি হোসাইনিয়া আশরাফুল উলুম মাদ্রাসার তত্ত্বাবধানে রয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত বড় কাটরা দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকে।

কিভাবে যাবেন

রাজধানী ঢাকা শহরের যেকোন জায়গা হতে পুরান ঢাকা (Old Dhaka) এসে রিক্সা নিয়ে চকবাজারের দক্ষিণে বাবুবাজার এলাকায় অবস্থিত বড় কাটরায় যাওয়া যায়। বড় কাটরা থেকে ছোট কাটরার দূরত্ব মাত্র ১৮৩ মিটার।

আশেপাশের দর্শনীয় স্থান

বড় কাটরার পাশেই ছোট কাটরার অবস্থান। এছাড়া কাছাকাছি দূরত্বে জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান গুলোর মধ্যে আছে লালবাগ দুর্গতারা মসজিদ, শোয়ারী ঘাট, আর্মেনিয়ান চার্চ, সদরঘাট লঞ্চ ঘাট, আহসান মঞ্জিল সহ আরও অনেক স্থাপনা।