ইট চুন সুরকি দিয়ে নির্মিত নীলকুঠির ছাদ লোহার বীম ও ইটের টালি দিয়ে তৈরি। বর্তমানে মূল ভবন ছাড়াও সাহেবদের প্রমোদ ঘর, শয়নকক্ষ, কাচারি ঘর, জেলখানা, মৃত্যুকূপ ও ঘোড়ার ঘর টিকে আছে। ভবনের সামনে রয়েছে একটি আমবাগান ও দক্ষিণ পাশে নীল কুঠির কর্মকর্তাদের প্রার্থনার জন্য গড়ে তোলা চার্চের ভগ্নাংশ। লোকে মুখে প্রচলিত রয়েছে, এখনও গভীর রাতে নীলকুঠি থেকে নর্তকীদের নূপুরের আওয়াজ ও চাষিদের আর্তনাদ শোনা যায়।
নীলকুঠির পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে কাজলা নদী। ২০১৬ সালে সরকারী উদ্যোগে ভাটপাড়া নীলকুঠিকে পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে কৃত্রিম লেক, ঝর্ণা, বিভিন্ন পশু পাখির দৃষ্টিনন্দন মূর্তি, কিডস জোন ও আকর্ষণীয় ফুলের বাগান তৈরি করা হয়। প্রতিদিন দর্শনার্থীরা কালের সাক্ষী হিসেবে দাড়িয়ে থাকা এই ভাটপাড়া নীলকুঠির ধ্বংসাবশেষ দেখতে ও মনোরম পরিবেশে ঘুরে বেড়াতে আসেন। বর্তমানে এই নীলকুঠি বাংলাদেশ সরকারের রাজস্ব বিভাগের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।
কিভাবে যাবেন
ঢাকার গাবতলী থেকে পদ্মা সেতু হয়ে জেআর, শ্যামলী, এস এম, রয়েল এক্সপ্রেস, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর ডিলাক্সে মেহেরপুর যাওয়া যায়। বাসের ভাড়া নন এসি ৬০০-৭০০ টাকা, এসি ৮০০-১৩০০ টাকা। মেহেরপুর থেকে স্থানীয় পরিবহণে ভাটপাড়া নীলকুঠিতে যেতে পারবেন।
কোথায় থাকবেন
মেহেরপুরে হোটেল রনি, মেহেরপুর পৌর গেস্ট হাউজ, হোটেল অনাবিল, সোহাগ গেস্ট হাউজ, হোটেল ফিন টাওয়ার, হোটেল নাইট বিলাস, হোটেল শাহজাদী, হোটেল আটলান্টিকা, হোটেল প্রিন্স, হোটেল মিতা প্রভৃতি আবাসিক হোটেল রয়েছে।
কোথায় খাবেন
চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর হাইওয়ের কাছে গালিব রেস্টুরেন্ট, ক্যাফে ইন, দাওয়াত রেস্টুরেন্ট, ইসলামিয়া হোটেল, ফিন ফুড রেস্টুরেন্ট ও লা ভোগ সহ বেশকিছু রেস্টুরেন্ট রয়েছে। মেহেরপুরের জনপ্রিয় খাবারের মধ্যে অবশ্যই সাবিত্রী ও রসকদম্ব মিষ্টির স্বাদ নিয়ে দেখবেন।
মেহেরপুর জেলার দর্শনীয় স্থান
মেহেরপুরের অন্যান্য দর্শনীয় স্থানের মধ্যে সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির, আমদহ গ্রামের স্থাপত্য, আমঝুপি নীলকুঠি, মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্স, নীলকুঠি ও ডিসি ইকোপার্ক অন্যতম।