মোঘল স্থাপত্যরীতিতে নির্মিত বর্গাকৃতি এই মসজিদ আড়াই ফুট দেয়ালে ঘেরা উঁচু প্ল্যাটফর্মের উপর স্থাপিত। মসজিদের প্রতি বাহুর দৈর্ঘ্য ৩২ ফুট। মসজিদের অভ্যন্তরীণ ও বাইরের অংশ সুলতানী আমলের চিত্রফলকে অলংকৃত। শাহ মাহমুদ মসজিদের চারকোণে চারটি আট কোণাকৃতির বুরুজ, পূর্ব দিকের দেয়ালে ৩টি দরজা, পশ্চিম দেয়ালে পোড়ামাটির চিত্রফলক নির্মিত তিনটি মেহরাব রয়েছে। মসজিদের প্রবেশ পথে কুটির ধাঁচে নির্মিত একটি আকর্ষণীয় দো-চালা ঘর রয়েছে, যা “বালাখানা” হিসেবে পরিচিত।

অতীতে মসজিদের চার কোণায় চারটি মূল্যবান প্রস্তর ফলক ছিল যা দুর্বৃত্তরা চুরি করে নিয়ে গিয়েছে। এছাড়া এই মসজিদ থেকে ১ কিলোমিটার দূরে শেখ সাদি জামে মসজিদ অবস্থিত। কথিত আছে, শাহ্‌ মাহমুদ ও শেখ সাদি দুইজন ব্যবসায়ী ভাই ছিলেন। শাহ্‌ মাহমুদ মসজিদটি নির্মানের ২০ বছর আগে শেখ সাদি মসজিদ নির্মাণ করা হয়।

কিভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে সড়ক ও রেলপথে কিশোরগঞ্জ যাওয়া যায়। ঢাকার গুলিস্থান/গোলাপবাগ থেকে অনন্যা, যাতায়াত নন-এসি বাসে পাকুন্দিয়া হয়ে কিশোরগঞ্জ যাওয়া যায়। এছাড়া রেলপথে, কমলাপুর রেলওয়ে ষ্টেশন থেকে কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস, এগারসিন্ধু গোধূলি ও এগারসিন্ধু প্রভাতী এক্সপ্রেস ট্রেনে কিশোরগঞ্জ পৌঁছাতে পারবেন। কিশোরগঞ্জ পৌঁছে স্থানীয় পরিবহণে পাকুন্দিয়া উপজেলা হয়ে এগারসিন্ধুর গ্রামে অবস্থিত শেখ মাহমুদ শাহ্‌ মসজিদে যেতে পারবেন।

কোথায় থাকবেন

কিশোরগঞ্জ জেলার ষ্টেশন রোডে হোটেল রিভারভিউ, হোটেল উজানভাটি, হোটেল গাংচিল, ক্যাসেল সালাম আবাসিক ও হোটেল মোবারক প্রভৃতি আবাসিক হোটেল রয়েছে।

কিশোরগঞ্জ জেলার দর্শনীয় স্থান

কিশোরগঞ্জের অন্যান্য দর্শনীয় স্থানের মধ্যে নিকলি হাওর, অষ্টগ্রাম হাওর, কবি চন্দ্রাবতী মন্দির, নরসুন্দা লেকসিটি, দিল্লির আখড়া, সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু, পাগলা মসজিদ, ইটনা হাওর, শোলাকিয়া জামে মসজিদ, ইটনা শাহী মসজিদ, সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়ী, জঙ্গলবাড়ি দুর্গ, এগারসিন্দুর দুর্গ, গাঙ্গাটিয়া জমিদার বাড়ি, কুতুব শাহ্‌ মসজিদ অন্যতম।