প্রায় ৪৫ একর জায়গা জুড়ে একটি বিশালাকৃতির মাছের আদলে বিনোদনের ভিন্নধর্মী আয়োজন নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে হ্যাপি আইল্যান্ড। এই পার্কে আছে ওয়াটার রাইড, লেক ভিউ সুইমিং পুল এবং বোট রাইডিং সহ আকর্ষণীয় নানা উপকরণ। সারি সারি ফুলের গাছ দিয়ে সুশোভিত হ্যাপি আইল্যান্ড পার্ক সব বয়সী মানুষের ভালো লাগার মতো একটি জায়গা। এছাড়াও এখানে আছে পিকনিক করার যাবতীয় সু-ব্যবস্থা, কফি শপ ও মৎস্য কন্যার ভাস্কর্য। বর্তমানে শিশু কিশোরসহ সকল বয়সী মানুষের বিনোদনের অন্যতম স্থান হিসেবে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

প্রবেশ মূল্য ও সময়সূচী

সেনা রিজিয়নের তত্ত্বাবধানে থাকা আরণ্যক হলিডে রিসোর্টের অধীনে হ্যাপি আইল্যান্ড পরিচালিত হচ্ছে। ফলে হ্যাপি আইল্যান্ডে যেতে হলে প্রথমে আরণ্যক রিসোর্টে ঢুকতে হবে। আরণ্যক রিসোর্টে জনপ্রতি প্রবেশ মূল্য ৫০ টাকা এবং বোট ভাড়াসহ হ্যাপি আইল্যান্ডের প্রবেশ টিকেট ফি জনপ্রতি ২০০ টাকা। সোমবার ব্যতীত প্রতিদিন সকাল ১১ টা থেকে পার্কটি দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকে।

কিভাবে যাবেন

ঢাকার ফকিরাপুর, গাবতলি ও কলাবাগান থেকে রাঙ্গামাটি যাওয়ার বিভিন্ন বাস পাওয়া যায়। বাসগুলো সাধারণত সকাল ৮টা-৯টা এবং রাত ৮.৩০ থেকে রাত ১১ টার মধ্যে রাঙ্গামাটির উদ্দ্যেশ্যে ছাড়ে। জনপ্রতি এসি/নন-এসি বাস ভাড়া ৮৫০-১৮০০ টাকা। বাস থেকে রাঙ্গামাটি ক্যান্টনমেন্ট নেমে মেইন রোড দিয়ে অটো বা সিএনজি নিয়ে আরণ্যক রিসোর্টের হ্যাপি আইল্যান্ড যেতে পারবেন।

কোথায় থাকবেন

হ্যাপি আইল্যান্ডের আরণ্যক রিসোর্টে প্রতি রাতের জন্য রুম ভাড়া লাগবে ৫,০০০-১০,০০০ টাকা। এছাড়া রাঙ্গামাটিতে রাত্রিযাপনের জন্য হোটেল প্রিন্স, হোটেল মাউন্টেন ভিউ, হোটেল মতি মহল, হোটেল জুম প্যালেস ও হোটেল গ্রিন ক্যাসেলের মতো বেশকিছু আবাসিক হোটেল রয়েছে।

কোথায় খাবেন

হ্যাপি আইল্যান্ডে ফাস্টফুড জাতীয় খাবারের ব্যবস্থা আছে। তবে রিসোর্টে অবস্থান করলে রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করে থাকে। চাইলে বনরুপা বাজার বা ভেদভেদীতে খাবার হোটেল পারেন। এছাড়া রাঙ্গামাটি শহরের স্পাইস রেস্তোরা, পাজন রেস্টুরেন্ট, ইরিশ রেস্টুরেন্ট ও সাবারাং রেস্টুরেন্টের খাবার বেশ জনপ্রিয়।

রাঙ্গামাটির দর্শনীয় স্থান

রাঙ্গামাটি জেলার অন্যান্য দর্শনীয় স্থানের মধ্যে সাজেক ভ্যালী, কাপ্তাই লেক, ঝুলন্ত ব্রিজ, রাজবন বিহার, পলওয়েল পার্ক, শুভলং ঝর্ণা, কমলক ঝর্ণা প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।