ডিম্বাকৃতির এই পার্কটিকে ঘিরে ৭টি রাস্তা একত্রিত হয়েছে। গাছপালার ছায়াঘেরা মনোরম পরিবেশের বাহাদুর শাহ পার্কে আরও আছে নবাবজাদা খাজা হাফিজুল্লাহ স্মরণে তৈরী স্মৃতিস্তম্ভ এবং সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক নির্মিত ফোয়ারা। ১৯৫৭ সালে নবাব খান বাহাদুর পার্কটির নাম পরিবর্তন করে বাহাদুর শাহ পার্ক রাখেন।
ইতিহাস
আঠারো শতকের শেষের দিকে বাহাদুর শাহ পার্কের স্থানে আর্মেনীয়দের একটি বিলিয়ার্ড ক্লাব ছিল। স্থানীয়রা বিলিয়ার্ড বলকে আন্টা নামে ডাকত ফলে ক্লাব ঘর ও ক্লাব সংলগ্ন মাঠ আন্টাঘর এবং আন্টা ময়দান নামে পরিচিতি লাভ করে। তারপর ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহের পর সাধারণ মানুষের মনে ভয় জাগাতে ইংরেজ শাসকেরা বিপ্লবী সিপাহিদের লাশ এনে আন্টা ময়দানের বিভিন্ন গাছের ডালে ঝুলিয়ে রেখেছিল। পরবর্তীতে ১৮৫৮ সালে রানী ভিক্টোরিয়া কতৃক ভারতবর্ষের শাসনভার গ্রহণের ঘোষনাপত্র আন্টা ময়দানে পাঠ করা হয় এবং সে কারণে এ স্থানটি ভিক্টোরিয়া পার্ক নামে নতুন পরিচয় লাভ করে। ১৯৫৭ সালে সিপাহি বিদ্রোহের শতবার্ষিকী পালন উপলক্ষে ভিক্টোরিয়া পার্কে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করে পার্কের নাম বাহাদুর শাহ পার্ক করা হয়।
বাহাদুর শাহ পার্কের সময়সূচী
বাহাদুর শাহ পার্ক সপ্তাহের ৭ দিনই খোলা থাকে। ভোর ৫টা থেকে রাত ১০.৩০ মিনিট পর্যন্ত যে কোন সময়ই প্রবেশ করতে পারবেন। প্রবেশে কোন টিকেট কাটার প্রয়োজন হয়না।
বাহাদুর শাহ পার্ক কিভাবে যাবেন
ঢাকার যেকোন স্থান থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আসার বিভিন্ন গণপরিবহন রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় গেইটের সামনে আসলেই বাহাদুর শাহ পার্কের প্রবেশ পথ দেখতে পাবেন।
আশেপাশের দর্শনীয় স্থান
পার্কের কাছেই রয়েছে সদরঘাট, আহসান মঞ্জিল, বিউটি বোর্ডিং। হাতে সময় থাকলে ঘুরে দেখতে পারবেন সে সব জায়গা গুলো।